Skip to main content

রেমিট্যান্স এর উপর কর অরোপের পরামর্শ আই এম এফ এর।

 



সরকারকে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এবং বিভিন্ন ধরনের বন্ডের ওপর দেওয়া কর সুবিধা প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

দেশে রিজার্ভ সংকটের এই সময়ে রেমিট্যান্স আনতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে বর্তমানে রেমিট্যান্সের ওপর পুরোপুরি কর অব্যাহতি রয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রবাসী আয়ের ওপর ২.৫৮ শতাংশ নগদ প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে। 

সংস্থাটির ঢাকা সফররত মিশন বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে 'ইনকাম ট্যাক্স এক্সপেনডিচার' শীর্ষক তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয় বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র।

একইভাবে সরকারের বিভিন্ন ধরনের বন্ড, এমনকি শেয়ারবাজার থেকে আয়ের ওপর দেওয়া করছাড়ও বাতিল করার পক্ষে আইএমএফ। 

ব্যক্তি খাতের করদাতারা বর্তমানে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসাসহ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা মোট বেতনের এক-তৃতীয়াংশ কর অব্যাহতি পান। এই সুবিধাও বাতিল করার সুপারিশ করেছে আইএমএফ। এছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ভাতার ক্ষেত্রেও কর অব্যাহতি বাতিলের কথা বলেছে। 

অবশ্য এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেছেন, আইএমএফ চাইলেই রাতারাতি এসব সুবিধা তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। কেননা এর সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি জড়িত। 

ওই সভায় উপস্থিত এনবিআরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আইএমএফ কিছু অব্যাহতি তুলে দেওয়া বা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার কথা বলেছে। তবে আমাদের দেশের বাস্তবতার আলোকে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

'এই সময়ে রেমিট্যান্সের মতো বড় ইস্যুতে কর অব্যাহতি তুলে দেওয়ার সুযোগ নেই।'

এছাড়া আইএমএফ সরকারি সিকিউরিটিজ, মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট, পাবলিকলি লিস্টেড সিকিউরিটিজ এবং সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি বা ছাড় বাতিল করা বা কমিয়ে আনার কথা বলেছে। 

গত বছরের শুরুতে বাংলাদেশকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদনকালে সংস্থাটি ৩০টির মতো শর্ত পরিপালনের শর্ত দেয়, যার মধ্যে কর ব্যয় যৌক্তিক করার কথাও বলা হয়েছে। 

এ লক্ষ্যে এনবিআরও কর ব্যয় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে, যার অংশ হিসেবে গত বছরই কিছু ভ্যাট ও কর সুবিধা কমানো হয়েছে। 

তবে বহু আগে থেকেই সরকার রেমিট্যান্সের ওপর কর আরোপ করেনি।

দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ১৫/৩/২৪

Comments

Popular posts from this blog

ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৩৯ গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা উধাও!

প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্টসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের রংপুর জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স শিরিন ট্রেডার্সের মালিক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মোছা. জোবেদা বেগম, তার স্বামী মো. আবুল কালাম আজাদ, তার মেয়ের জামাই এ.বি.এম আতাউর রহমান, এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারী মো. শাহজাহান ও জাহাঙ্গীর আলম।   এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন অপকৌশল ও অসৎ উদ্দেশ্যে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের আড়ালে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মোছা. জোবেদা বেগম ও তার স্বামী ২০১৮ সালের অক্টোবরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে এফডিআর খুলে...

সোনালী ব্যাংককে এক কোটি রুপি জরিমানা করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

  লেনদেনের বিধি ও নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ ৪০ হাজার রুপি জরিমানা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকেও একই অভিযোগে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। মুম্বাইয়ের ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ঋণসংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া, অগ্রিম লেনদেনে ত্রুটি এবং গ্রাহক সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর সোনালী ব্যাংককের বিরুদ্ধে অসংগতিপূর্ণ লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করার ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকটির বিরুদ্ধে সুইফট সম্পর্কিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগও তোলা হয়েছে।  ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে চলমান একটি পর্যবেক্ষণের ফল হিসেবে এই জরিমানা করেছে আরবিআই। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অসংগতিপূর্ণ আচরণ ধরা পড়ে। এ কারণে ব্যাংক দুটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।  সরকারের ভর্তুকির বিপরীতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এ ছাড়া অননুমোদিত ই–লেনদেনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল ব্যাংকটি। ...

এস আলমের কাজের মেয়ের হিসাবে কোটি কোট টাকা?

  বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের কাজের মেয়েও কোটিপতি। শীর্ষ ব্যবসায়ী এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনা আক্তারের নামে ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ছাড়াও মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ। পেশায় গৃহকর্মী হলেও মর্জিনার নামে দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। এছাড়া মর্জিনার নামে কয়েকটি ব্যাংকে ২২টি এফডিআর’এ থাকা এক কোটি টাকা জমা রাখার সন্ধান পাওয়া গেছে। ইসলামী ব্যাংকে চাকরি দেখিয়ে নিজ নামে এ সম্পদ গড়েছে মর্জিনা আক্তার ও তার স্বামী সাদ্দাম হোসেন।  বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। এতে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখায় মর্জিনা আক্তারের নামে গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নগদ ও চেকের মাধ্যমে এসব অর্থ জমা হলেও কিছুদিনের মধ্যে সেই অর্থ উত্তোলন করা হয়। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মর্জিনা আক্তারের ব্যাংক হিসাবে এখন জমা আছে মাত্র ৬০৫ টাকা। অন্যদ...