Skip to main content

জাল নোট চিনুন ,প্রতারণা থেকে বাঁচুন । পর্ব -১

আসসালামু আলাইকুম। টাকা পয়সা লেন দেন করেন এমন কোন মানুষ নেই যে জাল নোট নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিথিতে পড়েন  নি ।যাহোক ব্যাংক এ ক্যাশিয়ার হিসবে দীর্ঘ দিন কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে জাল নোট চেনার দুর্দান্ত কৌশল গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ ।আজ এ পর্বে আলোচনা করব ৫০০টাকার নোট নিয়ে ।


বাংলাদেশ ব্যাংক এর ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া ৫০০ টাকার নোট।
৫০০ টাকার যত কালার এর নোট আছে তার মধ্যে এই কালার এর নোট এর জাল নোট চেনা সবচেয়ে কঠিন। কারন এই রঙের জাল নোট গুলো আগের ১০০ টাকার বড় আকারের নোট গুলোর উপর প্রিন্ট করা তাই এর কাগজ খাঁটি নোটের হওয়ার কারনে জাল নোট শনাক্তকারী যন্ত্রের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়না ।এছাড়া এই নোটের নিরাপত্তা সূতাটিও আসল নোটের  হওয়ার কারনে নিরাপত্তা সুতার সেলাই এর মাধ্যমে আসল ও জাল নটের পার্থক্য নির্ণয় করা যায় না ।এছাড়া অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য গুলোও আসল নোটের কাগজ হওয়ার কারনে একই। তাই সাধারন মানুষের পক্ষে এরুপ জাল নোট সনাক্ত করা অসম্ভব ও বলা যায় ।ব্যাংক এ যারা ক্যাশ এ কাজ করেন তারা সবসময় টাকা নাড়াচাড়ার মধ্যে থাকেন বিধায় দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকার কালার এবং প্রিন্ট তাদের মগজে গেঁথে যায় ,তাই নোটের রঙ এবং প্রিন্ট এর মান দেখেই তারা বলতে পারেন কোনটি আসল নোট আর কোনটি জাল নোট। যেহেতু সাধারন মানুষ এত বেশি টাকা দেখেন না তাই আচমকা জাল নোট পেলে তারা এটি সনাক্ত করতে পারেন না।




যাহোক একটা কথা আছেনা ? বাঁচতে হলে জানতে হবে।৫০০ টাকা আয় করতে আমাদের মত সাধারন  মানুষের নাকের পানি আর চোখের পানি যে এক হয়ে যায় তাতে মনে হয় কারোই দ্বিমত নেই।সুতরাং বাঁচতে হলে জানতে হবেই।




বেশিরভাগ মানুষই টাকা সন্দেহ হলে আলোর বিপরীতে ধরে টাকার ভিতর বাঘের মাথা বাংলাদেশ ব্যাংক ইত্তাদি খোঁজার চেষ্টা করেন আসলে ৫০০ টাকার এই রঙের নোটের ক্ষেত্রে এসব কৌশল কোণ কাজেই 
আসেনা ।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এর  জাল নোট চেনার পোস্টার এ অনেক গুলো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এক সাথে রপ্ত করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না ।
যাহোক মুল কথায় আসি উপরের ৫০০ টাকার যে নোট টি দেওয়া আছে তার মধ্যে লাল বক্স দুটির দিকে তাকান ১নম্বর বক্স টির মধ্যে একটি ঢেউ এর মত দাগ আছে এখানে ভাল ভাবে তাকান একটি নয় দুটি সরু দাগ দেখতে পাবেন এর মধ্যে উপরের টি নিরেট দাগ হলেও নিছের টি কিন্তু মোটেও দাগ নয় ।

আপনার বাসায় যদি পাওয়ার চশমা থাকে অথবা যদি  আঁতসী কাঁচ থাকে দাগটির উপর ধরুন দেখতে পাবেন এখানে ছোট ছোট অক্ষরে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখা আছে অনেক টা এরকম (BANGLADESH BANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANK)এভাবে অক্ষর গূলো দিয়ে ঢেঊ খেলান দাগ দেওয়া হয়েছে।


২ নম্বর বক্স টি দিকে লক্ষ করুন খালি চোখে দেখা যায় ৫০০ লেখা আছে কিছুটা সাদা রঙের আর বাকি অংশ কাল। গভীর ভাবে লক্ষ করলে অথবা আঁতসী কাঁচ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাবেন এখানেও ক্ষুদ্র অক্ষরে বাংলাদেশ ব্যাংক শব্দটি অসংখ্য বার লেখা আছে। অনেকটা এরকম।

BANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANK
BANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANK
BANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANK BANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANK
BANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANK BANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANKBANGLADESHBANK
একবার যদি আপনি এই লেখাগুল পড়তে পারেন আশা করি দৃষ্টি শক্তি ঠিক থাকলে বাকি জীবনে  খালি চোখে আপনি লেখাগুলো পড়তে পারবেন এবং আপনি প্রতারনা থেকে রক্ষা পাবেন ইনশাআল্লাহ।

এই বৈশিষ্ট্য জাল করা সম্ভব নয় ।আশা করি উপকৃত হবেন।পোস্ট টি আপনার সামান্য তম উপকারে আসলে অবশই লাইক কমেন্ট শেয়ার করে বন্ধু দের জানাতে ভুলবেন না। পরবর্তী পোস্ট হবে ৫০০ টাকার নতুন নোট নিয়ে ,সাথেই থাকুন।

Comments

Popular posts from this blog

ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৩৯ গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা উধাও!

প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্টসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের রংপুর জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স শিরিন ট্রেডার্সের মালিক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মোছা. জোবেদা বেগম, তার স্বামী মো. আবুল কালাম আজাদ, তার মেয়ের জামাই এ.বি.এম আতাউর রহমান, এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারী মো. শাহজাহান ও জাহাঙ্গীর আলম।   এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন অপকৌশল ও অসৎ উদ্দেশ্যে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের আড়ালে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মোছা. জোবেদা বেগম ও তার স্বামী ২০১৮ সালের অক্টোবরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে এফডিআর খুলে...

সোনালী ব্যাংককে এক কোটি রুপি জরিমানা করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

  লেনদেনের বিধি ও নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ ৪০ হাজার রুপি জরিমানা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকেও একই অভিযোগে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। মুম্বাইয়ের ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ঋণসংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া, অগ্রিম লেনদেনে ত্রুটি এবং গ্রাহক সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর সোনালী ব্যাংককের বিরুদ্ধে অসংগতিপূর্ণ লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করার ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকটির বিরুদ্ধে সুইফট সম্পর্কিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগও তোলা হয়েছে।  ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে চলমান একটি পর্যবেক্ষণের ফল হিসেবে এই জরিমানা করেছে আরবিআই। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অসংগতিপূর্ণ আচরণ ধরা পড়ে। এ কারণে ব্যাংক দুটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।  সরকারের ভর্তুকির বিপরীতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এ ছাড়া অননুমোদিত ই–লেনদেনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল ব্যাংকটি। ...

এস আলমের কাজের মেয়ের হিসাবে কোটি কোট টাকা?

  বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের কাজের মেয়েও কোটিপতি। শীর্ষ ব্যবসায়ী এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনা আক্তারের নামে ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ছাড়াও মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ। পেশায় গৃহকর্মী হলেও মর্জিনার নামে দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। এছাড়া মর্জিনার নামে কয়েকটি ব্যাংকে ২২টি এফডিআর’এ থাকা এক কোটি টাকা জমা রাখার সন্ধান পাওয়া গেছে। ইসলামী ব্যাংকে চাকরি দেখিয়ে নিজ নামে এ সম্পদ গড়েছে মর্জিনা আক্তার ও তার স্বামী সাদ্দাম হোসেন।  বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। এতে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখায় মর্জিনা আক্তারের নামে গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নগদ ও চেকের মাধ্যমে এসব অর্থ জমা হলেও কিছুদিনের মধ্যে সেই অর্থ উত্তোলন করা হয়। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মর্জিনা আক্তারের ব্যাংক হিসাবে এখন জমা আছে মাত্র ৬০৫ টাকা। অন্যদ...