Skip to main content

ভারতে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে বাংলাদেশিদের।

 



বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ প্রতি মাসে ভারতে

চিকিৎসার জন্য যান। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ কারণে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড দাশদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ভারতে। তবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ওপর তৈরি করা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা ৯৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। যেখানে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে খরচ করেছিলেন ১১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ১৯ কোটি ১০ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে।


সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জানুয়ারিতে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচন ও পরবর্তী অনিশ্চয়তার মধ্যে বিদেশে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ কমে গিয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছে বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের


ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে দেশ- বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচের পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। যেমন ডিসেম্বরে বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেন ৫৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা জানুয়ারি মাসে কমে দাঁড়ায় ৫৩২ কোটি ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসে বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের খরচ কমেছে ৪৭ কোটি ২০ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।


গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে বসবাসরত বা ঘুরতে আসা বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে প্রায় ১৮১ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। একই সময়ে বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন প্রায় ৫৩২ কোটি ১০ লাখ টাকা।


এ দেশে বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বেশি খরচ করেন ডিপার্টমেন্ট স্টোরে। তারা জানুয়ারি মাসে ১৮১ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে ৫৯ কোটি ৫০ টাকাই খরচ করেছেন ডিপার্টমেন্ট স্টোরে। এরপর তারা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ খরচ করেন নগদ টাকা উত্তোলনে। জানুয়ারিতে বিদেশিরা এ দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করেছেন। আগের মাসেও প্রায় একই পরিমাণ অর্থ তারা নগদে তুলেছিলেন।


বিদেশিদের মধ্যে বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা। এর পরের অবস্থানে রয়েছেন যথাক্রমে যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকেরা। এ তিন দেশের নাগরিকেরা মিলে গত নভেম্বরে প্রায় ৮৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা ওই মাসে মোট খরচের প্রায় ৪৯ শতাংশ।


বিদেশের পাশাপাশি দেশেও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার গত


জানুয়ারিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। গত জানুয়ারি মাসে দেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৬৭৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর আগের মাসে খরচ হয়েছিল ২ হাজার ৬৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক মাসে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ ৪০ কোটি টাকা কমেছে।


এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। তাই মানুষ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ খরচ কমানোর চেষ্টা করছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত জানুয়ারি মাসে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৫২ লাখ। ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ২৪ লাখ ২৯ হাজার। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে মোট গ্রাহক প্রায় ৮৫ লাখ। বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মুঠোফোনে আর্থিক সেবায় গ্রাহক প্রায় ২২ কোটি।


ভোরের কাগজ ৩০/৩/২৪

Comments

Popular posts from this blog

ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৩৯ গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা উধাও!

প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্টসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের রংপুর জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স শিরিন ট্রেডার্সের মালিক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মোছা. জোবেদা বেগম, তার স্বামী মো. আবুল কালাম আজাদ, তার মেয়ের জামাই এ.বি.এম আতাউর রহমান, এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারী মো. শাহজাহান ও জাহাঙ্গীর আলম।   এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন অপকৌশল ও অসৎ উদ্দেশ্যে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের আড়ালে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মোছা. জোবেদা বেগম ও তার স্বামী ২০১৮ সালের অক্টোবরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে এফডিআর খুলে...

সোনালী ব্যাংককে এক কোটি রুপি জরিমানা করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

  লেনদেনের বিধি ও নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ ৪০ হাজার রুপি জরিমানা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকেও একই অভিযোগে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। মুম্বাইয়ের ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ঋণসংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া, অগ্রিম লেনদেনে ত্রুটি এবং গ্রাহক সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর সোনালী ব্যাংককের বিরুদ্ধে অসংগতিপূর্ণ লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করার ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকটির বিরুদ্ধে সুইফট সম্পর্কিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগও তোলা হয়েছে।  ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে চলমান একটি পর্যবেক্ষণের ফল হিসেবে এই জরিমানা করেছে আরবিআই। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অসংগতিপূর্ণ আচরণ ধরা পড়ে। এ কারণে ব্যাংক দুটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।  সরকারের ভর্তুকির বিপরীতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এ ছাড়া অননুমোদিত ই–লেনদেনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল ব্যাংকটি। ...

এস আলমের কাজের মেয়ের হিসাবে কোটি কোট টাকা?

  বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের কাজের মেয়েও কোটিপতি। শীর্ষ ব্যবসায়ী এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনা আক্তারের নামে ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ছাড়াও মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ। পেশায় গৃহকর্মী হলেও মর্জিনার নামে দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। এছাড়া মর্জিনার নামে কয়েকটি ব্যাংকে ২২টি এফডিআর’এ থাকা এক কোটি টাকা জমা রাখার সন্ধান পাওয়া গেছে। ইসলামী ব্যাংকে চাকরি দেখিয়ে নিজ নামে এ সম্পদ গড়েছে মর্জিনা আক্তার ও তার স্বামী সাদ্দাম হোসেন।  বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। এতে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখায় মর্জিনা আক্তারের নামে গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নগদ ও চেকের মাধ্যমে এসব অর্থ জমা হলেও কিছুদিনের মধ্যে সেই অর্থ উত্তোলন করা হয়। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মর্জিনা আক্তারের ব্যাংক হিসাবে এখন জমা আছে মাত্র ৬০৫ টাকা। অন্যদ...