Skip to main content

খেলাপী ঋন আদায়ে মামলা করায় দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে জখম।

 


ঋণখেলাপি মামলার জেরে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে শিবপুর উপজেলার পুটিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।


আহতরা হলেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শিবপুর উপজেলার মুন্সেফেরচর শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ যোবায়ের ও কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম। তাদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কাজী মোহাম্মদ যোবায়ের।


পুটিয়া গ্রামের জিয়াউদ্দিন সরকারের ছেলে সুমন সরকারের (৩৬) বিরুদ্ধে মারধরের এই অভিযোগ। তিনি ওই ব্যাংকের ঋণ খেলাপি। তার বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে খেলাপি মামলা করেন। এ মামলায় কারাভোগও করেন সুমন। পরে আদালতের মাধ্যমে ব্যাংকের বকেয়া পরিশোধ করেন।


লিখিত অভিযোগে বলা হয়, দুই ব্যাংক কর্মকর্তা

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্যাংকটির ঋণগ্রহীতা পুটিয়া বাজার এলাকার জলিল মিয়ার অটোপার্টস দোকান পরিদর্শনে যান। এ সময় জলিলের দোকানে বসে কফি পান করছিলেন তারা। ১২টার দিকে ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগাল শুরু করেন সুমন। এক পর্যায়ে কাঠ দিয়ে তাদের মারধর করেন। তারা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।


মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, 'ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী আমরা কাউকে ঋণ দেওয়ার আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। তেমনই পুটিয়া বাজারের জলিল মিয়ার দোকানে গেলে সুমন আমাদের মারধর করেন। চিকিৎসা নিয়ে বিকেলে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।'


অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুমন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। শিবপুর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করছেন।

বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যাংকারগন এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন,এবং অবিলম্বে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 

সূত্র:সমকাল ১১ মার্চ ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৩৯ গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা উধাও!

প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্টসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের রংপুর জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স শিরিন ট্রেডার্সের মালিক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মোছা. জোবেদা বেগম, তার স্বামী মো. আবুল কালাম আজাদ, তার মেয়ের জামাই এ.বি.এম আতাউর রহমান, এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারী মো. শাহজাহান ও জাহাঙ্গীর আলম।   এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন অপকৌশল ও অসৎ উদ্দেশ্যে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের আড়ালে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মোছা. জোবেদা বেগম ও তার স্বামী ২০১৮ সালের অক্টোবরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে এফডিআর খুলে...

সোনালী ব্যাংককে এক কোটি রুপি জরিমানা করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

  লেনদেনের বিধি ও নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ ৪০ হাজার রুপি জরিমানা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকেও একই অভিযোগে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। মুম্বাইয়ের ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ঋণসংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া, অগ্রিম লেনদেনে ত্রুটি এবং গ্রাহক সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর সোনালী ব্যাংককের বিরুদ্ধে অসংগতিপূর্ণ লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করার ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকটির বিরুদ্ধে সুইফট সম্পর্কিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগও তোলা হয়েছে।  ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে চলমান একটি পর্যবেক্ষণের ফল হিসেবে এই জরিমানা করেছে আরবিআই। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অসংগতিপূর্ণ আচরণ ধরা পড়ে। এ কারণে ব্যাংক দুটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।  সরকারের ভর্তুকির বিপরীতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এ ছাড়া অননুমোদিত ই–লেনদেনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল ব্যাংকটি। ...

এস আলমের কাজের মেয়ের হিসাবে কোটি কোট টাকা?

  বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের কাজের মেয়েও কোটিপতি। শীর্ষ ব্যবসায়ী এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনা আক্তারের নামে ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ছাড়াও মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ। পেশায় গৃহকর্মী হলেও মর্জিনার নামে দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। এছাড়া মর্জিনার নামে কয়েকটি ব্যাংকে ২২টি এফডিআর’এ থাকা এক কোটি টাকা জমা রাখার সন্ধান পাওয়া গেছে। ইসলামী ব্যাংকে চাকরি দেখিয়ে নিজ নামে এ সম্পদ গড়েছে মর্জিনা আক্তার ও তার স্বামী সাদ্দাম হোসেন।  বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। এতে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখায় মর্জিনা আক্তারের নামে গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নগদ ও চেকের মাধ্যমে এসব অর্থ জমা হলেও কিছুদিনের মধ্যে সেই অর্থ উত্তোলন করা হয়। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মর্জিনা আক্তারের ব্যাংক হিসাবে এখন জমা আছে মাত্র ৬০৫ টাকা। অন্যদ...