Skip to main content

যে কারনে সিটি ব্যাংকের সাথে একীভূত হতে চান না বেসিক ব্যাংকের কর্মীরা!

 



নতুন সিদ্ধান্তে একীভূত হতে যাচ্ছে সরকারি বেসিক ব্যাংক ও বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক। তবে এমন সিদ্ধান্তের পর সিটি নয়, সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান বেসিকের কর্মীরা। এক স্মারকলিপিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর কাছে এ বিষয় স্মারকলিপি দিয়েছেন বেসিক ব্যাংকের কর্মীরা।


অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। ক্ষুদ্র শিল্প বিকাশে অর্থায়নের বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকটি দীর্ঘদিন অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশের মানুষকে সেবা দিয়েছে।


স্বাভাবিকভাবেই দেশের চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ-তরুণীদের জন্য এই ব্যাংকের চাকরি ছিল স্বপ্নের মতো। ফলে এই ব্যাংকে উচ্চ শিক্ষিত ও সপ্রতিভ তরুণ-তরুণীদের সমাবেশ ঘটেছে যারা ব্যাংকটিকে একটি শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল। সরকারি খাতের একটি প্রতিষ্ঠান হয়েও এটি ছিল একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান যা এর কর্মীদের জন্য ছিল অনেক গর্বের।



বেসিক ব্যাংকের সাফল্যে আমরা অনেকে পুরনো ব্যাংক ছেড়ে বেসিক ব্যাংকে যোগদান করি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির উত্তরাধিকারীগণ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের একটি মডেল আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করে এই ব্যাংকে যোগদান করেছে এবং একটি অনাড়ম্বর কিন্তু সুন্দর জীবনের প্রত্যাশায় সর্বদাই আশ্বস্ত বোধ করেছে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মোটামুটি সচ্ছল জীবন যাপনের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।


এই ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহজ জীবন যাপনে অভ্যস্ত। এমনকি বেতন ভাতাদি কমে যাওয়ার পরেও কেউ সততার পথ থেকে বিচ্যুত হয়নি। বরং এই ব্যাংকটিকে আঁকড়ে ধরে একে দুরবস্থা থেকে বের করে আনার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। আমরা আমাদের দুর্দশা সম্পূর্ণরূপে কাটিয়ে উঠতে না পারলেও ব্যাংকের অনেক সূচকের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। ব্যাংকের আর্থিক দুর্দশা স্বত্বেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের পেমেন্ট পরিশোধসহ বিভিন্ন সময় দেশব্যাপী সরকারের উন্নয়ন কাজের সহযোগী হয়েছি। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সহযোগিতা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর ছিলাম, এখনও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। বেতন-ভাতার ক্ষতিও তো আমরা মেনে নিয়েছিলাম ব্যাংকের স্বার্থে, শুধুমাত্র জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তার কথা বিবেচনা করে। তবে মন্ত্রী, সরকারি খাতের বেসিক ব্যাংককে বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের সংবাদে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে।


বেসিক ব্যাংকের কর্মীরা জানান, দেশের আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও আর্থিক খাতকে প্রভূত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় ব্যাংক একীভূতকরণের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। সেক্ষেত্রে বেসিক ব্যাংককে মূল ধারার অপর একটি সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হলে সকল বিবেচনায় তা হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে আমাদের অর্থাৎ ব্যাংকের সব কর্মীর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাও দূর হবে।


এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি খাতের বেসিক ব্যাংককে মূল ধারার অপর একটি সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার দাবি করেছে বেসিক ব্যাংকের কর্মীরা।


গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন উপস্থিততে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক একীভূত করার বিষয় জানানো হয়।

সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন 

Comments

Popular posts from this blog

ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৩৯ গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা উধাও!

প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্টসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের রংপুর জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স শিরিন ট্রেডার্সের মালিক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মোছা. জোবেদা বেগম, তার স্বামী মো. আবুল কালাম আজাদ, তার মেয়ের জামাই এ.বি.এম আতাউর রহমান, এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারী মো. শাহজাহান ও জাহাঙ্গীর আলম।   এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন অপকৌশল ও অসৎ উদ্দেশ্যে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের আড়ালে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মোছা. জোবেদা বেগম ও তার স্বামী ২০১৮ সালের অক্টোবরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে এফডিআর খুলে...

সোনালী ব্যাংককে এক কোটি রুপি জরিমানা করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

  লেনদেনের বিধি ও নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ ৪০ হাজার রুপি জরিমানা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকেও একই অভিযোগে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। মুম্বাইয়ের ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ঋণসংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া, অগ্রিম লেনদেনে ত্রুটি এবং গ্রাহক সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর সোনালী ব্যাংককের বিরুদ্ধে অসংগতিপূর্ণ লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করার ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকটির বিরুদ্ধে সুইফট সম্পর্কিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগও তোলা হয়েছে।  ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে চলমান একটি পর্যবেক্ষণের ফল হিসেবে এই জরিমানা করেছে আরবিআই। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অসংগতিপূর্ণ আচরণ ধরা পড়ে। এ কারণে ব্যাংক দুটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।  সরকারের ভর্তুকির বিপরীতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এ ছাড়া অননুমোদিত ই–লেনদেনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল ব্যাংকটি। ...

এস আলমের কাজের মেয়ের হিসাবে কোটি কোট টাকা?

  বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের কাজের মেয়েও কোটিপতি। শীর্ষ ব্যবসায়ী এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনা আক্তারের নামে ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ছাড়াও মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ। পেশায় গৃহকর্মী হলেও মর্জিনার নামে দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। এছাড়া মর্জিনার নামে কয়েকটি ব্যাংকে ২২টি এফডিআর’এ থাকা এক কোটি টাকা জমা রাখার সন্ধান পাওয়া গেছে। ইসলামী ব্যাংকে চাকরি দেখিয়ে নিজ নামে এ সম্পদ গড়েছে মর্জিনা আক্তার ও তার স্বামী সাদ্দাম হোসেন।  বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। এতে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখায় মর্জিনা আক্তারের নামে গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নগদ ও চেকের মাধ্যমে এসব অর্থ জমা হলেও কিছুদিনের মধ্যে সেই অর্থ উত্তোলন করা হয়। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মর্জিনা আক্তারের ব্যাংক হিসাবে এখন জমা আছে মাত্র ৬০৫ টাকা। অন্যদ...