এ সময় গভর্নর অর্থ পাচার ঠেকাতে হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধে যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিনই এক থেকে ২০০ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে।
মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন গভর্নর। তিনি বলেন, দেশে বছরে মানি চেঞ্জারের মাধ্যমে লেনদেন হয় ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার, আর ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৭০ বিলিয়ন। ছোট একটি অংশের লেনদেন সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা যখন ডলারের রেট ২ টাকা বাড়িয়ে দেন, তখন অনেক প্রবাসীই রেমিট্যান্সের অর্থ ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়।
এজন্য মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। কর্মশালায় সিআইডিপ্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, মাদক, মানি লন্ডারিং মামলায় শুধু বাহক বা ব্যবহারকারী নয়, গডফাদারদের খোঁজা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তাদের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য করে তোলা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সিআইডিপ্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া রচিত ‘মানি লন্ডারিং ও প্রেডিকেট অফেন্স: মামলা অনুসন্ধান ও তদন্ত কৌশল’ গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। দেশের ইতিহাসে এ ধরনের গ্রন্থ এটিই প্রথম। গ্রন্থটিতে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
এটি মানি লন্ডারিং অভিযোগ অনুসন্ধান ও মামলা তদন্তে সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্য ও আগ্রহী গবেষকদের জন্য সহায়ক হবে। কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্য দেন সিআইডির ডিআইজি অর্গানাইজড ক্রাইম কুসুম দেওয়ান।
কালবেলা ১২ মার্চ ২০২৪।
Comments
Post a Comment