Skip to main content

নিজ মালিকানাধীন ব্যাংক লুট! শীর্ষ ব্যবসায়ীর মৃত্যুদন্ড।

 



জালিয়াতি করে নিজ মালিকানাধীন ব্যাংক থেকে বিপুল ঋণ বের করে নেয়ার অপরাধে ভিয়েতনামের এক শীর্ষ আবাসন ব্যবসায়ীকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে ভিয়েতনামের আদালত।


এই আবাসন ব্যবাসায়ির নাম  ট্রুং মাই ল্যান, যিনি ভিয়েতনামের শীর্ষ রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ভ্যান থিন ফাটের চেয়ারওম্যান।


ট্রু মাই ল্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সাইগন কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে নামে বেনামে জালিয়াতি করে ভিয়েতনামি মুদ্রায় ১ হাজার ট্রিলিয়ন বা ৪৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার ঋণ নিয়েছেন।


ভিয়েতনামের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে, তিনি ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি ঋণের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছেন যা ছিল ঐ সময়ে ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের ৯৩ শতাংশ। 


এর মধ্যে বেশি কিছু ঋণ পরিশোধ করা হলেও অক্টোবর ২০২২ সাল পর্যন্ত হিসাব অনুসারে ১ হাজার ট্রিলিয়ন ডং বা ৪৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে ৬৭৭ ট্রিলিয়ন ডং বা ২৭ বিলিয়ন ডলারই খেলাপি হয়ে গেছে যা আর ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নাই।


তিনি ব্যাংক লুট করবার কাজে যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন তার মধ্যে ব্যাংক একীভবনও রয়েছে।


২০১১ সালের ডিসেম্বরে ভিয়েতনামের দুর্দশাগ্রস্থ তিনটি ব্যাংক একীভূত করে গঠন করা হয় সাইগন কমার্শিয়াল ব্যাংক। ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনেই একীভবন হলেও, অভিযোগ হলো একীভবনটি আসলে হয়েছে ট্রুং মাই ল্যানের উদ্যোগে, তার মালিকানাধীন আবাসন কোম্পানি  ভ্যান থিন ফাটের স্বার্থ রক্ষার্থে।


একীভবনের আগে থেকেই বেনামে শেয়ার কিনে তিনি তিনটি ব্যাংকেই তার কর্তৃত্ব ও আধিপত্য নিশ্চিত করেন যা একীভবনের পরেও অব্যহত থাকে। বেনামে তিনি একীভূত ব্যাংকটির ৯১ দশমিক ৫ শতাংশ মালিকানা নিয়ন্ত্রণ করতেন। 


একীভূত সাইগন কমার্শিয়াল ব্যাংকে তার নিজের কোন পদ না থাকলেও পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের বিভিন্ন সিনিয়র পজিশানে বসানোর মাধ্যমে তিনি ব্যাংকটির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং দেশে বিদেশে প্রায় ১ হাজার ভুয়া শেল কোম্পানির নামে ব্যাংকটি থেকে এই বিপুল পরিমাণ ঋণ বের করে নিয়েছিলেন।

Comments

Popular posts from this blog

ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৩৯ গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা উধাও!

প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্টসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের রংপুর জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মামলার আসামিরা হলেন- মেসার্স শিরিন ট্রেডার্সের মালিক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মোছা. জোবেদা বেগম, তার স্বামী মো. আবুল কালাম আজাদ, তার মেয়ের জামাই এ.বি.এম আতাউর রহমান, এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারী মো. শাহজাহান ও জাহাঙ্গীর আলম।   এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন অপকৌশল ও অসৎ উদ্দেশ্যে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের আড়ালে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯ জন গ্রাহকের মোট এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মোছা. জোবেদা বেগম ও তার স্বামী ২০১৮ সালের অক্টোবরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে এফডিআর খুলে...

সোনালী ব্যাংককে এক কোটি রুপি জরিমানা করল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

  লেনদেনের বিধি ও নির্দেশনা লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংককে ৯৬ লাখ ৪০ হাজার রুপি জরিমানা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকেও একই অভিযোগে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। মুম্বাইয়ের ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ঋণসংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া, অগ্রিম লেনদেনে ত্রুটি এবং গ্রাহক সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর সোনালী ব্যাংককের বিরুদ্ধে অসংগতিপূর্ণ লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করার ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকটির বিরুদ্ধে সুইফট সম্পর্কিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগও তোলা হয়েছে।  ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে চলমান একটি পর্যবেক্ষণের ফল হিসেবে এই জরিমানা করেছে আরবিআই। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অসংগতিপূর্ণ আচরণ ধরা পড়ে। এ কারণে ব্যাংক দুটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।  সরকারের ভর্তুকির বিপরীতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল মুম্বাইভিত্তিক সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। এ ছাড়া অননুমোদিত ই–লেনদেনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল ব্যাংকটি। ...

এস আলমের কাজের মেয়ের হিসাবে কোটি কোট টাকা?

  বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের কাজের মেয়েও কোটিপতি। শীর্ষ ব্যবসায়ী এস আলমের গৃহকর্মী মর্জিনা আক্তারের নামে ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ছাড়াও মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ। পেশায় গৃহকর্মী হলেও মর্জিনার নামে দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। এছাড়া মর্জিনার নামে কয়েকটি ব্যাংকে ২২টি এফডিআর’এ থাকা এক কোটি টাকা জমা রাখার সন্ধান পাওয়া গেছে। ইসলামী ব্যাংকে চাকরি দেখিয়ে নিজ নামে এ সম্পদ গড়েছে মর্জিনা আক্তার ও তার স্বামী সাদ্দাম হোসেন।  বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য। এতে দেখা যায়, চট্টগ্রামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখায় মর্জিনা আক্তারের নামে গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নগদ ও চেকের মাধ্যমে এসব অর্থ জমা হলেও কিছুদিনের মধ্যে সেই অর্থ উত্তোলন করা হয়। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মর্জিনা আক্তারের ব্যাংক হিসাবে এখন জমা আছে মাত্র ৬০৫ টাকা। অন্যদ...